আউশ ধানঃ উঁচু জমি ও অগভীর পানি বিশিষ্ট এলাকায় চাষ হয়। আউশ ধান চাষের জন্য দো-আঁশ থেকে এঁটেল দো-আঁশ মাটি উত্তম। আর এ ধান ফাল্গুনের মাঝামাঝি থেকে বৈশাখের মাঝামাঝি সময়ে বপন করে শ্রাবণ-ভাদ্র মাসে সংগ্রহ করা হয়। এ কারণে আউশ ধানকে ভাদই বা খরিফ ফসলের অন্তর্গত করা হয়েছে। আউশ ধানের উৎপাদন বিঘা প্রতি অনেক কম হওয়ায় এর পরিবর্তে ঐ সময়ে উচ্চ ফলনশীল ইরি আউশ ধানের চাষ করা হয়। কাচামনি, কৈতরমনি গড়িয়া, ধলাগড়িয়া, কাশিয়াবান্ধা, গড়ানা, ভাদাই প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য আউশ ধান।
আমন ধানঃ অপেক্ষাকৃতি নিম্নভূমিতে ভাল চাষ হয়। অর্থাৎ প্রয়োজনীয় পানি দাঁড়ানোর উপযোগী সমতল ভূমিতে এ ধানের চাষ ব্যাপকভাবে হয়ে থাকে। এ ধরনের ধানকে অগ্রানি বা হৈমান্তিক ফসল বলা হয়। চলনবিলেদু’ধরনের আমন ধানের চাষ হয়। যেমন-রোপা আমন ধান জৈষ্ঠ্য-আষাঢ় মাসে বীজতলায় ধানের বীজ ছড়িয়ে দেওয়া হয় এবং ৪ থেকে ৬ সপ্তাহ পর থেকে চারা তুলে নিয়ে শ্রাবণ মাস হতে আশ্বিন মাসের মধ্যে জমি ভালভাবে তৈরি করে চারা রোপণ করা হয়।কার্তিক মাসের মাঝামাঝি থেকে পৌষ মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে পাকা ধান সংগ্রহ করা হয়। রাজাশাইল, বাদশাভোগ, দুধসর, চিতরাজ, বাঁশফুল, পাইজাম, মিনিকেট ইত্যাদি উচ্চ ফলনশীল আমন ধান প্রচুর উৎপাদন হয়।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস